চরফ্যাসন প্রতিনিধি॥ চরফ্যাসনের দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নে জমি জবর দখলকারীদের মারধরে আনোয়ারা(৬৫)নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী মফিজল ইসলাম মঞ্জু গংদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে আর্থিক সংকটে দীর্ঘ ১ মাস চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে ওই ইউনিয়নের চরনুরুল আমিন গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের তার নিজ বাড়িতে স্বামীর ভিটায় তার মৃত্যু হয়। নিহত আনোয়ারা একই গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদিনের স্ত্রী। গতকাল বুধবার দুলারহাট থানা পলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তাস্তর করেন। গত ২৯ মার্চ স্বামীর ভিটে জবর দখল করে প্রতিপক্ষরা ঘর নির্মাণ করতে গেলে তিনি বাধা দিলে তাকে মারধরের ঘটনা ঘটে। দখলকারীদের মারধরে তিনি গুরুতর আহত হন। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে এলে দুইদিন চিকিৎসার শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে রেফার করেন। আর্থিক সংকটে চিকিৎসা না নিয়েই বাড়ি ফিরেন বৃদ্ধা আনোয়ারা। ১৪ এপ্রিল ওই বৃদ্ধার ছেলে মোঃ বারেক তার বৃদ্ধা মাকে মারধরের ঘটনায় বাদী হয়ে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউসুব ওরফে পানি ইউসুফসহ ৯ জনকে আসামী করে দুলারহাট থানায় মামলা দায়ের করেন। নিহতের ছেলে বারেক অভিযোগ করেন, তার বৃদ্ধা মা ওই ইউনিয়নের চর নুরুল আমিন মৌজায় তার বাবার মৃত্যুর পর ১০ শতাংশ জমির মালিক হন এবং বাবার মৃত্যু পর থেকেই তিনি একাই ওই জমিতে বাবার নির্মান করা ঘর ভিটেতে ওই ঘরে বসবাস করতেন। সম্প্রতি সময়ে তার মায়ের ওয়ারিশি জমির কিছু অংশ স্থানীয় আবু তাহেরের কাছে বিক্রি করেন। আর অপর জমিতে তিনি ভোগ দখলে আছেন। কয়েক বছর আমার যাবত চাচাতো ভাইয়ের ওয়ারিশ মফজল,জুয়েল, নিরব, স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউসুব (পানি ইউসুব), মোঃ শাহাজাহান. শাহাবুদ্দিন, শিপন, সুরমা বেগম. বাদশা ওই জমির মালিকানাদাবী করে উচ্ছেদের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এবং আবু তাহেরের কাছে তার মায়ের বিক্রিত জমি দখল বুঝিয়ে দিতে বাধা দেন। এনিয়ে বিরোধ চলমান আছে। ঘটনার দিন ২৯ মার্চ তার মায়ের ঘর মেরামতের কাছ করতে গেলে মফিজুল ইসলাম মঞ্জু গংরা ওই ঘর ভিটে জোরপূর্বক জবর দখলের চেষ্টা করেন। এসময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তার মা আনোয়ারা তার বসত ভিটে দখলে বাধা দিলে মফিজল ইসলাম মঞ্জু গংরা তার ওপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে মা আনোয়ারাকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তিনি খবর পেয়ে বৃদ্ধা মাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে এলে দুদিন চিকিৎসার পর তাকে উন্নত চিকিৎসার শেরে বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেন। তিনি দিনমুজুর হওয়ায় আর্থিক সংকটের কারনে বরিশালে মাকে চিকিৎসা দিতে না পেরে বাড়িতে নিয়ে আসেন। দীর্ঘ ১মাস প্রতিপক্ষের মারধরে আহত মা আনোয়ারা চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয়। বৃদ্ধার মৃত্যুর খবরে প্রতিপক্ষ মফিজল ইসলামসহ অপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের বক্তব্য জানাযায়নি। দুলারহাট থানার ওসি মো. মোরাদ হোসেন জানান. বৃদ্ধাকে মারধরের ঘটনায় ইতিপুর্বে একটি মামলা দায়ের করা হয়। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্থান্ত করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রির্পোট পেলে ওই মামলার সাথে ধারা যুক্ত করা হবে।
Leave a Reply